একটা ঝকঝকে পরিষ্কার বাইক নিয়ে রাস্তায় নামার মজাই আলাদা! বাইক শুধু দেখতে ভালো লাগে তাই নয় নিয়মিত পরিষ্কার করলে এর যন্ত্রাংশের আয়ষ্কাল বাড়ে, পারফরম্যান্স উন্নত হয়, আর আপনার রাইড হয় আরও আরামদায়ক। ধুলো, কাদা বা রাস্তার লবণ ঠিকমতো না ধুলে গিয়ার, ব্রেক আর ফ্রেম দ্রুত ক্ষয় হয়ে যায়। এতে খরচও বেড়ে যায়। তাই আসুন, দেখে নেই কিভাবে প্রফেশনালের মতো আপনার বাইক পরিষ্কার করবেন।
সূচীপত্র
বাইক পরিষ্কার করার প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও উপকরণ
বাইক পরিষ্কারের আগে কয়েকটা জিনিস হাতের কাছে রাখলে কাজটা হবে অনেক সহজ আর দ্রুত। নিচে একে একে দেখে নিন
বেসিক সরঞ্জাম
মোটরসাইকেল পরিষ্কার করতে গেলে কিছু বেসিক জিনিস অবশ্যই কাছে রাখতে হবে। প্রথমেই দরকার হবে বাইক স্পেশাল ক্লিনার। প্রয়োজনে ডিশ ওয়াশও ব্যবহার করা যায়, তবে বাইকের জন্য আলাদা ক্লিনার সব ধরনের ম্যাটেরিয়ালের জন্য নিরাপদ এবং বেশি কার্যকর। এরপর দরকার হবে ডিগ্রীজার, যেটা বিশেষ করে চেইন, গিয়ার এবং পুরো ড্রাইভট্রেইনে জমে থাকা শক্ত তেল-গ্রিজ তুলতে অপরিহার্য।
ধোয়া ও মুছার সরঞ্জাম
পরিষ্কারের সুবিধার জন্য হাতে রাখতে হবে দুইটা বালতি পানি একটাতে সাবান মিশিয়ে ধোয়ার কাজ করবেন আরেকটাতে থাকবে শুধু পরিষ্কার পানি ব্যবহার করার জন্য। সাথে ব্রাশের সেট থাকলে ভালো হয় বড় নরম ব্রাশ ফ্রেম পরিষ্কার করার জন্য, আর ছোট সরু ব্রাশ গিয়ার ও চেইনের ফাঁকে ফাঁকে ময়লা তুলতে কাজে দেবে। ফ্রেম, হ্যান্ডেলবার কিংবা সিটপোস্টের মতো জায়গা মুছতে স্পঞ্জ বা মাইক্রোফাইবার কাপড় ব্যবহার করলে কাজ হবে সহজ এবং নিখুঁত।
ফাইনাল টাচ ও সুরক্ষা
চেইন পরিষ্কারের জন্য চাইলে চেইন ক্লিনার টুল ব্যবহার করতে পারেন, এতে সময় বাঁচবে এবং কাজও হবে পরিপাটি। এছাড়া বাইক ধোয়ার সময় দরকার হবে হোস পাইপ বা স্প্রে নোজল, তবে খেয়াল রাখতে হবে পানি যেন খুব বেশি চাপ দিয়ে না আসে কারণ এতে বিয়ারিংয়ের ভেতরে পানি ঢুকে ক্ষতি করতে পারে। পরিষ্কার শেষে অবশ্যই লুব্রিক্যান্ট দিয়ে চেইন ও অন্যান্য মুভিং পার্টস মসৃণ করে নিতে হবে, যাতে বাইক চালানোর সময় ঘর্ষণ কম হয়। চাইলে শেষে প্রটেক্টিভ স্প্রে বা পলিশ ব্যবহার করলে ফ্রেম আরও চকচকে থাকবে এবং সহজে দাগ পড়বে না।
কত দিন পর বাইক পরিষ্কার করবেন?
বাইক পরিষ্কার করার কোনো নির্দিষ্ট নিয়ম নেই, এটি অনেকটাই নির্ভর করে আপনার রাইডিং কন্ডিশনের ওপর। শহরের ভেতর ছোটখাটো রাইডের পর হালকা মুছে নিলেই চলে, তবে সপ্তাহে অন্তত একবার ভালোভাবে ধোয়া উচিত। লম্বা ট্যুর বা অফ-রোড রাইডের পর অবশ্যই ড্রাইভট্রেইনসহ পুরো বাইক পরিষ্কার করা দরকার, কারণ কাদা, বালি বা ধুলো জমে দ্রুত ক্ষয় করে। বর্ষাকালে বা কাদা-মাটির রাস্তায় রাইড করলে পরিষ্কারের ফ্রিকোয়েন্সি আরও বাড়াতে হবে। আর শুকনো মৌসুমে কম ঝামেলায়ও বাইক অনেক দিন পরিষ্কার থাকে।
প্রফেশনাল ক্লিনিং সার্ভিস
বাইক পরিষ্কারের অনেক কাজই আপনি ঘরে বসে করতে পারবেন। যেমন, চেইন পরিষ্কার, সাবান পানি দিয়ে ফ্রেম ধোয়া, লুব দেওয়া ইত্যাদি। তবে যদি বাইকে জটিল সমস্যা থাকে বা অনেক দিন ধরে ভালোভাবে পরিষ্কার না করা হয়ে থাকে, তাহলে প্রফেশনাল সার্ভিস নেওয়া ভালো। বাইক শপে বিশেষায়িত টুল আর কেমিক্যাল দিয়ে প্রতিটি অংশ ডিটেইলে পরিষ্কার করা হয়, যা ঘরে বসে সবসময় সম্ভব নয়। তাই রেগুলার মেইনটেনেন্স নিজে করলে খরচ কমে, কিন্তু নির্দিষ্ট সময় পর প্রফেশনাল ক্লিনিং করালে বাইক দীর্ঘস্থায়ী হয়।
মোটরসাইকেল পরিষ্কারে সাধারণ ভুলসমূহ:
বাইক পরিষ্কারের অনেক কাজই আপনি ঘরে বসে করতে পারবেন। যেমন, চেইন পরিষ্কার, সাবান পানি দিয়ে ফ্রেম ধোয়া, লুব দেওয়া ইত্যাদি। তবে যদি বাইকে জটিল সমস্যা থাকে বা অনেক দিন ধরে ভালোভাবে পরিষ্কার না করা হয়ে থাকে, তাহলে প্রফেশনাল সার্ভিস নেওয়া ভালো। বাইক শপে বিশেষায়িত টুল আর কেমিক্যাল দিয়ে প্রতিটি অংশ ডিটেইলে পরিষ্কার করা হয়, যা ঘরে বসে সবসময় সম্ভব নয়। তাই রেগুলার মেইনটেনেন্স নিজে করলে খরচ কমে, কিন্তু নির্দিষ্ট সময় পর প্রফেশনাল ক্লিনিং করালে বাইক দীর্ঘস্থায়ী হয়।
শেষকথা
বাইক শুধু একটি যানবাহন নয়, বরং এটি আপনার সঙ্গী—চাই শহরের রাস্তায় হোক কিংবা দূরের অ্যাডভেঞ্চার ট্রেইলে। তাই নিয়মিত পরিষ্কার ও যত্ন নেওয়া শুধু বাইকের সৌন্দর্যই ধরে রাখে না, বরং এর পারফরম্যান্স ও আয়ুকেও অনেকগুণ বাড়িয়ে দেয়। সঠিক উপকরণ ব্যবহার করে ধাপে ধাপে পরিষ্কার করলে আপনার বাইক সবসময় থাকবে ঝকঝকে এবং চালানোর সময় দেবে আলাদা আনন্দ। মনে রাখবেন একটা পরিষ্কার বাইক মানেই নিরাপদ, টেকসই এবং আনন্দময় রাইড।
শখের মোটরসাইকেলের সকল তথ্য অ্যাপের মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করতে এবং সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ব্যবহার করতে পারেন বাইকগার্ড জিপিএস ট্র্যাকার। ফিচার হিসাবে পাচ্ছেন ইঞ্জিন লক/আনলক করার সুবিধা, লাইভ ট্র্যাকিং, জিও-ফেন্সিং, এবং ট্রাভেল হিস্টোরি চেক করা সহ আরও অনেক সুবিধা বিস্তারিত জানতে দেখুন বাইকগার্ড প্যাকেজ সমূহ অথবা চাইলে আমাদের এক্সপার্ট টিমের সহযোগিতা পেতে নিচের ফরমটি জমা দিতে পারেন।