বাংলাদেশে মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশনের প্রক্রিয়ায় এবার কঠোর নজরদারি আরোপ করলো বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ)। সম্প্রতি সংস্থাটির পক্ষ থেকে দেশের সব সার্কেল অফিসকে নির্দেশনা দিয়ে বলা হয়েছে, সদর দপ্তরের অনুমোদন ছাড়া কোনো বাইকের রেজিস্ট্রেশন করা যাবে না।
সূচীপত্র
মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে কেন এই সিদ্ধান্ত?
গত ৩০ জুন বিআরটিএর পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং) শীতাংশু শেখ বিশ্বাস স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে লক্ষ্য করা যাচ্ছে কিছু অসাধু আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মোটরসাইকেল আমদানির ক্ষেত্রে জালিয়াতি করছে। তারা সেমি নকড ডাউন (SKD) অথবা কমপ্লিটলি নকড ডাউন (CKD) অবস্থায় বাইক এনে তা কমপ্লিটলি বিল্ড ইউনিট (CBU) হিসেবে দেখাচ্ছে। এতে সরকার যেমন রাজস্ব হারাচ্ছে, তেমনি রাস্তায় নিয়ম বহির্ভূত গাড়ি চলাচলের ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে।
কীভাবে জালিয়াতি হচ্ছে?
নির্দেশনায় আরও বলা হয়, কিছু আমদানিকারক ১৬৫ সিসির বেশি ক্ষমতাসম্পন্ন বাইককে কাগজে কম সিসির দেখিয়ে কাস্টমস থেকে ছাড় করাচ্ছে। পরে এই বাইকগুলো বিআরটিএতে রেজিস্ট্রেশনের জন্য তোলা হচ্ছে। অথচ বাংলাদেশে ১৬৫ সিসির বেশি বাইক চলাচলে বিশেষ নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
নতুন নির্দেশনার মূল বিষয়গুলো কী?
এইসব অনিয়ম রোধে বিআরটিএ সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে:
- সদর দপ্তর থেকে অনুমোদন ছাড়া কোনো বাইকের রেজিস্ট্রেশন হবে না।
- আমদানি করা প্রতিটি মোটরসাইকেলের চেসিস ও ইঞ্জিন নম্বরের তালিকা যাচাই করে সদর দপ্তর অনুমোদন দেবে।
- এরপর তালিকাটি বিআরটিএ আইএস সিস্টেমে আপলোড করা হবে।
- সার্কেল অফিসগুলো সেই অনুমোদিত তালিকা অনুযায়ী রেজিস্ট্রেশন দেবে।
কবে থেকে কার্যকর?
নতুন এই নিয়ম ৩১ জুলাই ২০২৫ এর পর থেকে কার্যকর হবে। নির্দেশনায় স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, যদি কোনো সার্কেল অফিস এই নিয়ম না মানে, তবে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিআরটিএর (BRTA) উদ্দেশ্য কী?
বিআরটিএর চেয়ারম্যানের অনুমোদিত এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে মূলত মোটরসাইকেল আমদানি ও রেজিস্ট্রেশনে স্বচ্ছতা আনা, জালিয়াতি রোধ করা এবং সরকারি রাজস্ব সুরক্ষা করাই প্রধান লক্ষ্য।
বিআরটিএর নতুন এই কঠোর নির্দেশনা হয়তো কিছু ব্যবসায়ীর জন্য তাৎক্ষণিকভাবে চাপ তৈরি করবে, কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে এটি মোটরসাইকেল মার্কেটকে আরও স্বচ্ছ, নিয়মবদ্ধ এবং নিরাপদ করবে। বাইক ব্যবহারকারীদেরও নিশ্চিত হতে হবে যে, তারা বৈধ ও অনুমোদিত কাগজপত্রের বাইক কিনছেন।
শেষকথা
সতর্ক থাকুন, নিয়ম মেনে চলুন – কারণ নিরাপদ রাস্তাই আমাদের সবার অধিকার।
শখের মোটরসাইকেলের সকল তথ্য অ্যাপের মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করতে এবং সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ব্যবহার করতে পারেন বাইকগার্ড জিপিএস ট্র্যাকার। ফিচার হিসাবে পাচ্ছেন ইঞ্জিন লক/আনলক করার সুবিধা, লাইভ ট্র্যাকিং, জিও-ফেন্সিং, এবং ট্রাভেল হিস্টোরি চেক করা সহ আরও অনেক সুবিধা বিস্তারিত জানতে দেখুন বাইকগার্ড প্যাকেজ সমূহ অথবা চাইলে আমাদের এক্সপার্ট টিমের সহযোগিতা পেতে নিচের ফরমটি জমা দিতে পারেন।